৪০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তির শরীরের ভেতরেই তৈরী হচ্ছে মদ।
বিদেশ ডেস্কঃ
আমেরিকার নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ার সড়কে গাড়ি চালানো অবস্থায় এক ৪০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিকে আকটায় পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ ওই ব্যক্তি মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কারণ তার শরীরে মদের উপস্থিতি পায় পুলিশ। কিন্তু ওই ব্যক্তি তা বারবার অস্বীকার করেন।
এ ঘটনার যখন কোনো সুরাহা হচ্ছিলো না তখন তারা দ্বারগ্রস্থ হন নিউ ইয়র্কের রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের গবেষকদের কাছে। গবেষণায় দেখা যায়, ওই ব্যক্তির আসলেই মদ পান করেননি। কিন্তু তার শরীরে মদের উপস্থিতি রয়েছে। মূলত, তার শরীরের ভেতরেই তৈরী হচ্ছে মদ।
নিউ ইয়র্কের রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের গবেষকদের দেয়া প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনের বরাতে সিএনএন জানায়, ওই ব্যক্তির মেডিকেল টেস্টেও দেখা যায় তার রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ ০.০২% এবং তা ১ ঘণ্টায় ১০ গ্লাস করে মদ পান করলে রক্তে যে পরিমাণ অ্যালকোহল পাওয়া যায় তার থেকেও ২.৫ গুণ বেশি।
মূলত এমনটি হবার নেপথ্যে রয়েছে এক প্রকারের ঈস্ট, যা মদ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ঈস্টটি কার্বোহাইড্রেটকে ভেঙ্গে অ্যালকোহলে পরিণত করে। ওই ব্যক্তি অন্ত্রে একটি ইনফেকশন পাওয়া গেছে, যেখানে সেই ইস্ট রয়েছে।
বিএমজে ওপেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির একটি গবেষণায় এই তথ্যগুলির কথা জানা গেছে।
খবরে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, তার অটো-ব্রিউয়ারি সিস্টেম (এবিএস) নামক একটি শারীরিক অবস্থা ছিল, যা অন্ত্রের গাঁজন বা গাট ফেরেন্টেশন সিনড্রোম নামে পরিচিত।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে ঈস্টের কারণে শরীরের খাবারের মাধ্যমে খাওয়া শর্করা অন্ত্রের ভেতর গাঁজনের মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেটগুলোকে অ্যালকোহলে রূপান্তরিত করে। প্রক্রিয়াটি সাধারণত ঊর্ধ্বতন জিআই ট্র্যাক্টে সঞ্চালিত হয়, যার মধ্যে পেট এবং ক্ষুদ্রান্তের প্রথম অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গবেষণার প্রধান লেখক এবং বার্মিংহামের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের ফাহাদ মালিক সিএনএনকে বলেছেন, ‘এই রোগে আক্রান্ত মানুষ এবং মদ্যপ ব্যক্তির মধ্যে বেশি পার্থক্য পাওয়া যায় না।’
১৯১২ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এ রোগে অনেক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের শ্বাস, মুখের গন্ধ এবং বিভিন্ন লক্ষণ মদ্যপদের মত হলেও এই রোগের চিকিৎসা অ্যান্টিফাংগাল ঔষধের মাধ্যমে করা যায় বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে।
অ্যান্টিফাংগাল ঔষধ ব্যবহার করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষনের পর গবেষকরা দেখেছেন যে, ইনফেকশনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আসছে। যদিও রোগীর মাঝে বিভিন্ন মানসিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা গেছে। তবে, যেখানে তিনি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে পারতেন না এখন তা পারছেন এবং রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ ক্রমশ কমছে।
গবেষকরা বলছেন, ‘এটি এমন স্বাস্থ্যাবস্থা যা ডায়েটের পরিবর্তন, উপযুক্ত অ্যান্টিফাঙ্গাল থেরাপি এবং সম্ভবত প্রোবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যায়।’
তবে গবেষকরা এই রোগের আরো মানানসই প্রতিকার বের করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকা পর্বে দুর্দান্ত খেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আছে রাজশাহী রয়্যালস।
খেলা ডেস্কঃ শেষ হয়ে গেলো বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ঢাকা পর্ব। ১১ ডিসেম্বর মাঠে গড়ানো ঢাকা পর্ব&…